মেয়েদের জীবনের স্বাভাবিক এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া হলো মাসিক বা পিরিয়ড। যদিও এটি একটি শারীরিক প্রক্রিয়া, মাসিকের সময় কিছু যত্নশীল এবং সঠিক করণীয় মেনে চলা শরীরের আরাম ও স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। এখানে মাসিকের সময় করণীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো:
১. পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
মাসিকের সময় অনেক নারী ক্লান্তি, দুর্বলতা বা পেশীর ব্যথা অনুভব করতে পারেন। এই সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া উচিত। দৈনন্দিন কাজের চাপ কমিয়ে, সময়মতো ঘুমিয়ে শরীরকে বিশ্রামের সুযোগ দিন।
২. স্বাস্থ্যকর খাবার খান
মাসিকের সময় শরীরে পুষ্টির প্রয়োজন বাড়ে। তাই হালকা, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। প্রচুর পানি পান করা, সবজি, ফলমূল, প্রোটিন এবং আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। এটি আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে এবং মাসিকের সময়ে দুর্বলতা কমাবে।
৩. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
মাসিকের সময় শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হতে পারে, তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করা খুবই জরুরি। প্রচুর পানি পান করলে পেটের ব্যথা এবং ফোলা কমে যায়।
৪. পিরিয়ড প্রোডাক্ট সঠিকভাবে ব্যবহার করুন
মাসিকের সময় স্যানিটারি প্যাড, ট্যাম্পন বা মেনস্ট্রুয়াল কাপের মতো পিরিয়ড প্রোডাক্ট সঠিকভাবে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ৪-৬ ঘন্টা পর পর এগুলো পরিবর্তন করা উচিত, যেন সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো যায় এবং পরিচ্ছন্ন থাকা যায়।
৫. হালকা ব্যায়াম করুন
অনেকেই মনে করেন মাসিকের সময় ব্যায়াম করা উচিত নয়, কিন্তু হালকা ব্যায়াম বা হাঁটা মাসিকের সময় শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। হালকা যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিংও সহায়ক হতে পারে।
৬. ব্যথা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নিন
মাসিকের সময় অনেক মেয়ে পেট, কোমর বা পিঠে ব্যথা অনুভব করে। এর জন্য হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যথা কমানোর ওষুধ খেতে পারেন। ব্যথা নিয়ন্ত্রণে হালকা ম্যাসাজও কার্যকর হতে পারে।
৭. পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
মাসিকের সময় নিয়মিত পরিষ্কার থাকা অত্যন্ত জরুরি। পিরিয়ডের সময় প্রাইভেট অংশ পরিষ্কার করতে ভালো মানের সাবান বা হালকা সোপ ব্যবহার করুন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে এবং আপনি আরও আরামদায়ক অনুভব করবেন।......................................
0 Comments