শিশুর ডেঙ্গুতে কখন হাসপাতালে নিতে হবে: গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ ও করণীয়

 


শিশুর ডেঙ্গুতে কখন হাসপাতালে নিতে হবে: গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ ও করণীয়

ডেঙ্গু জ্বর শিশুদের জন্য একটি ভয়াবহ রোগ হতে পারে, বিশেষ করে যদি তা গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছে। অনেক সময়ই আমরা বুঝতে পারি না যে কখন শিশুকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা যাবে এবং কখন হাসপাতালে নেওয়া জরুরি। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব শিশুর ডেঙ্গুতে হাসপাতালে নেওয়ার সময় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো।


ডেঙ্গু জ্বরের সাধারণ লক্ষণ

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো প্রদর্শন করতে পারে:

  • উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর (১০৪°F বা তার বেশি)
  • মাথাব্যথা
  • চোখের পেছনে ব্যথা
  • পেশী এবং গাঁটে ব্যথা
  • বমি বমি ভাব বা বমি
  • ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি

এই লক্ষণগুলো সাধারণত ৪-৭ দিন স্থায়ী হতে পারে। তবে ডেঙ্গুর কিছু গুরুতর লক্ষণ রয়েছে, যা দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

কখন শিশুকে হাসপাতালে নিতে হবে?

ডেঙ্গু জ্বরের গুরুতর রূপ 'ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার' এবং 'ডেঙ্গু শক সিনড্রোম', যা শিশুদের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো দেখা দিলে, দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া উচিত:

  1. অতিরিক্ত দুর্বলতা ও অবসাদ: শিশুর শরীরে প্রচণ্ড দুর্বলতা দেখা দিলে এবং সে বারবার ক্লান্ত হয়ে পড়লে।

  2. গাঁট ও পেটের ব্যথা: পেটের নীচে তীব্র ব্যথা হওয়া গুরুতর লক্ষণ হতে পারে। এছাড়া পেটে ফোলাভাব বা অস্বস্তি অনুভব করলে সতর্ক হতে হবে।

  3. অবিরাম বমি: শিশুর যদি বারবার বমি হতে থাকে, বিশেষ করে রক্তমিশ্রিত বমি, তাহলে এটি ডেঙ্গুর গুরুতর লক্ষণ।

  4. শরীরের রক্তপাত: নাক, মুখ বা ত্বকের নিচ থেকে রক্তপাত হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

  5. পানি শূন্যতা (ডিহাইড্রেশন): প্রচণ্ড পানি শূন্যতার কারণে শিশু দুর্বল হয়ে পড়লে এবং প্রস্রাব কমে গেলে হাসপাতালে নেওয়া জরুরি।

  6. শ্বাসকষ্ট: শ্বাস নিতে সমস্যা হলে বা শিশুর শ্বাস ধীরে ধীরে ভারী হয়ে গেলে তা ডেঙ্গুর শক সিনড্রোমের লক্ষণ হতে পারে।

  7. হাত-পা ঠাণ্ডা হওয়া: শিশুর হাত-পা যদি অস্বাভাবিকভাবে ঠাণ্ডা হয়ে যায় বা গায়ে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা অনুভব করে, তা ডেঙ্গু শকের লক্ষণ।

     


প্রাথমিক চিকিৎসা ও করণীয়

ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুকে হাসপাতালের আগে বাড়িতে যত্ন নেওয়ার সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলা উচিত:

  • পর্যাপ্ত পানি পান করানো (সুপ, ওরস্যালাইন, ফলের রস ইত্যাদি)
  • শিশুকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে রাখা
  • জ্বর নিয়ন্ত্রণে প্যারাসিটামল দেওয়া, তবে অ্যাসপিরিন এড়িয়ে চলা
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করানো

আরও পড়ুন

 


Post a Comment

0 Comments