এ যেন ভানুমতির খেল! বুধবার যেন কোনো জাদুমন্ত্রে হঠাৎই ধসে গেল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ২ উইকেটে ১২০ রান তোলা বাংলাদেশের দলটি থমকে দাঁড়ায় ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে। এতে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম জয় পাওয়ার সম্ভাবনা আবারও ফসকে যায়।
এটা ছিল টানা নবম হার। ১৯৯০ সালে শারজায় প্রথমবার মাঠে নামার পর থেকে ৩৪ বছর পার হলেও জয় এখনো অধরা বাংলাদেশের কাছে। শারজায় খেলা ৯ ম্যাচের ৯টিতেই পরাজয়, যা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড। শুধু শারজাই নয়, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালেও একই ধরনের শতভাগ হারের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। সেখানে ৯টি ম্যাচ খেলে ৯টিতেই হেরেছে দলটি—টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই। শারজায় এই ৯টি হার ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি মিলিয়ে।
আগামী শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ যদি আবার হারে, তাহলে শারজার এই পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে যাবে ক্রাইস্টচার্চকে এবং গড়বে বিশ্ব রেকর্ডও। এক ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলে শতভাগ হারের এই রেকর্ডে বাংলাদেশের পাশে যুক্ত হবে দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ মালদ্বীপ। মালদ্বীপ কাতারের দোহায় অবস্থিত ওয়েস্ট এন্ড পার্ক ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১০টি ম্যাচ খেলে ১০টিতেই হেরেছে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন ও কুয়েতের মতো দল।
এমন রেকর্ডের কাছাকাছি রয়েছে জিম্বাবুয়েও। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে ১০ ম্যাচ খেলে ৯টিতে হেরেছে তারা, যদিও একটি ম্যাচ টাই করে শতভাগ হারের তকমা এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
0 Comments